তৃণমূল কংগ্রেসের উদ‍্যোগে শহীদ দিবস পালন

12th December 2020 8:34 pm বর্ধমান
তৃণমূল কংগ্রেসের উদ‍্যোগে শহীদ দিবস পালন


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : প্রতি বছরের মতো ১২ই ডিসেম্বর কাঁকসার বিদবিহার পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর গ্রামে শহীদ দিবস পালন করা হলো।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী,ব্লকের যুব সহ সভাপতি সমরেশ ব্যানার্জী, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। গত ১৯৯৮ সালে বাম জামানায় কাঁকসার বিদবিহারের বাসুদেব পুর গ্রামে তৃণমূল করার অপরাধে ১১ই ডিসেম্বর গোটা গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে মারা যায় বহু গবাদি পশু। সেই রাতে গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে যায় গ্রামের মানুষ।পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা গ্রাম। অভিযোগ ওঠে তৎকালীন শাসক দল সিপিআই এম এর দিকে । এর পরেই রাত পার হতেই ১২ডিসেম্বর গৌর বাজারেই কাছে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল কর্মী শঙ্কর ঘোষ কে। ঘটনার পরে ৩১শে ডিসেম্বর কাঁকসায় আসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ওই দিন কর্মী খুনের বিচার চাইতে কাঁকসা থানায় ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয় নি। এর পরেই তিনি কাঁকসা ব্লকের দলের সমস্ত কর্মীদের জানিয়ে দেন প্রতি বছর ১২ই ডিসেম্বর বাসুদেব পুরে শহীদ দিবস পালন করা হবে। সেই মতো পরের বছর থেকেই শুরু হয় কাঁকসা ব্লকের বিদবিহার পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর গ্রামে শহীদ দিবস।
এখানেই শেষ নয় এর পরে ২০০০ সালের ১৯ শে এপ্রিল বিদবিহার পঞ্চায়েতের সামনেই কুপিয়ে খুব করা হয় অমর গোস্বামী কে । পরের দিন ২০ এপ্রিল শশিপুরের মাঠে খুন করা হয় নব গোপাল ডোম কে। পরের বছর ২০০১ সালের ২৬ শে জানুয়ারি অজয় নদের পাড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় লক্ষ্মী নারায়ণ ঘোষ কে। খুন করার পর তকে বালির চড়ে পুঁতে রেখে দেওয়া হয়। ২০০১ সাল থেকেই এই চার জনকে শ্রদ্ধা জানানো হয় কাঁকসার শহীদ দিবসে প্রতি বছর। পরিবারের ক্ষোভ  পরিবারের যারা খুন হয়েছে তারা আজও বিচার পায় নি। বিচারের আশায় আজও অপেক্ষায় বাসুদেব পুর গ্রাম।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।